::: 'কামসূত্র' এবং এর ইতিহাস :::

লিখেছেন লিখেছেন এমএ হাসান ১১ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:১৪:২৭ সন্ধ্যা

ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বইয়ের

দোকানে "কামসূত্র" নামে একটা মোটা বই

বিক্রি করা হয়।

ছেলেরা তো অনেক

মজা করে এই বইটা পড়ে।

কিন্তু

আমরা কি জানি কত নির্যাতিত নারীর

কান্না লুকিয়ে আছে এই কামসূত্র বইটার

প্রতি পাতায় পাতায়। আপনারা কি জানেন এই

কামসূত্র বইটার ইতিহাস কি ?

আগে আমাদের দেখতে হবে এই কামসূত্র বই

টা কত আগে লেখা হয়েছে। কামসূত্র

বইটা লেখা হইছে সংস্কৃত ভাষা। কমপক্ষে ৩০০০

হাজার বছর পূর্বে এই বইটা লেখা হয়। তো সেই

সময় ভারত বর্ষে পড়াশুনা লেখালেখি করত

কারা ? অবশ্যই ব্রাক্ষণরা।

হ্যা ক্ষত্রিয়রা পড়াশুনা জানত তবে সেটা শুধু

রাজ্য চালানোর জন্য যতটুকু দরকার হয় ঠিক

ততটুকু। কিন্তু ক্ষত্রিয় রা কখনই লেখালেখির

জগতে ছিল না। প্রাচীন ভারতে লেখালেখির

কাজটা শুধু ব্রাক্ষণরাই করত।

ভারতবর্ষে ইসলাম আসার পূর্বে নিম্নবর্ণের

হিন্দু মেয়েরা বিয়ের

আগে মন্দিরে সেবাদাসী হিসাবে কাজ

করতে হতো। মন্দির ধোয়া মোছা থেকে শুরু

করে মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিতদের

শয্যাসঙ্গী হওয়া এরকম প্রায় সব কাজই তাদের

করতে হত। তো এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা এই

নিম্নবর্ণের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রতিদিন

উপুর্যপুরী FREE SEX করতো। এই

মেয়েরা কিন্তু ব্রাক্ষনদের কেনা দাসী ছিল

না তারা শুধু তাদের বিয়ের আগের সময়টা এই

মন্দিরে কাজ করতো। বিয়ের পর এই নিম্ন

বর্ণের হিন্দু মেয়েরা আর মন্দিরে যেত না।

ব্রাক্ষণ পুরোহিতরা তখন

চিন্তা করে আমরা যে এত মজা করে FREE SEX

করছি আমাদের উচিত এই SEX এর ক্রিয়াকৌশল

গুলি ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে জানানো। তখনই

মন্দিরের এই ব্রাক্ষণ পুরাহিতরা কামসূত্র

নামে এই বইটি লেখে। তাছাড়া কামসূত্র

বইটা একদিনে লেখা হয় নি আর শুধুমাত্র

বাৎস্যায়ন নামক এক ব্যক্তি এই বইটা লেখেন

নি। অনেক জনের হাত

দ্বারা তা লেখা হইছে এটা বইটা উল্টাইলেই

বুঝা যায়। । আজও দক্ষিত ভারতের অনেক

মন্দিরের গায়ে উলঙ্গ নারী পুরুষের এই কাম

কলাগুলি প্রস্তর চিত্রের মাধ্যমে ফুটে আছে।

[ তথ্যসূত্র: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, অতুল

চন্দ্র রায়, নিঊ সেন্ট্রাল বুক এজেন্সি, ৮/১

চিন্তামণি দাস লেন, কল্কাতা-৭০০০৯]

হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র মতে শুদ্ররা ব্রক্ষার

পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমির খানের

একটা অনুষ্ঠান নাম সত্যমেভ STAR PLUS

CHANNEL এ হত। সেইখানে একবার হিন্দু

ধর্মের জাত প্রথা নিয়ে আলোচনা করা হইছিল।

সেইখানে এক মন্দিরের ব্রাক্ষন পুরাহিত তার

পা দেখিয়ে বলছিল এই দাস রায় ভদ্র দত্ত এই

নিম্ন বর্ণের জাতের লোকেরা ব্রক্ষার

পা থেকে জন্ম নিয়েছে। আমরা ব্রাক্ষণরা এদের

কোন হিসাবেই ধরি না। তাই আজও দক্ষিন

ভারতের প্রত্যন্ত

গ্রামে এখনো সেবাদাসী প্রথা টা রয়ে গেছে।

আপনি জানেন কার মাধ্যমে ব্রাক্ষণদের কাম

লালসার হাত থেকে এই নিম্ন বর্ণের হিন্দু

মেয়েরা মুক্তি পেয়েছিল ? উমাইয়া খিলাফতের

সময়ে মুহাম্মদ বিন কাসিম যখন রাজা দাহির

কে পরাজিত করে পাকিস্তানের সিন্ধু জয় করেন

তখন মহান মুসলিম সেনাপতি মুহাম্মদ বিন

কাসিম প্রথম ভারত বর্ষে

এই সেবাদাসী প্রথা বন্ধ করেন। নিম্ন বর্ণের

হিন্দু মেয়েরা তখন কৃতজ্ঞাতায় মুহাম্মদ বিন

কাসিমের মূর্তি বানিয়ে পূজা শুরু করে দিয়েছিল।

পরে অবশ্য মুহাম্মদ বিন কাসিম উনার সকল

মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন। [ তথ্যসূত্রঃ আল-বেরুনীর

ভারত তত্ত্ব] এই জন্যই স্বামী বিবেকানন্দ দাস

বলেছিলেন- “ ইসলাম তো ভারত বর্ষের

নিপীড়িত জনগণের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ

হয়ে এসেছিল। “

চিন্তা করুন ইসলাম যদি এই

ভারতবর্ষে না আসতো তাইলে কি যে হত!

আমার খুব অবাক হই যখন নেট জগতে ব্রাক্ষণ

ছাড়া অন্যান্য গোত্র যেমন দাস রায় ভদ্র দত্ত

এই বংশের মেয়েরা ইসলাম কে নিয়ে গালিগালাজ

করে। আরে ইসলামই তো এইসব মেয়েদের

কে ব্রাক্ষণদের লালসার হাত থেকে বাচিয়েছে।

সত্যিকথা বলতে কি ইসলাম যদি ভারত

বর্ষে না আসত

তাইলে আমরা এখনো ব্রাক্ষণদের দাস

হিসাবে থাকতাম। আর এই কারণে ব্রাক্ষণ

ছেলেদের ইসলামের উপর এত রাগ। কারন ইসলাম

তো তাদের FREE SEX করার পথ বন্ধ

করে দিয়েছে।

( by:ফারাবী ভাই)

বিষয়: বিবিধ

১৩৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File